দর্শনীয় স্থানবিনোদন

তিন রঙের পদ্ম ফুলের মোহনীয় রূপ বুড়িচংয়ের বিলে

0

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার প্রত্যন্ত দক্ষিণগ্রাম। ওই গ্রামের বিলে তিন রঙের পদ্মফুল তার রূপের পসরা মেলে বসেছে। গোলাপি, সাদা ও হলুদ পদ্মের মোহনীয় রূপ দেখতে বিলে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। পদ্মের মধ্যে হলুদ পদ্ম বিরল প্রজাতির বলে অভিমত গবেষকদের।

আগে এখানে মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে বা পানিতে ভিজে পদ্ম ফুল দেখতে হতো। এখন বাণিজ্যিক নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে। ২০টি নৌকায় প্রতিদিন কয়েকশ দর্শনার্থী পদ্ম ফুল দেখতে আসেন। তবে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দল বেঁধে তরুণরা এবং কয়েকটি পরিবার নৌকা চড়ে পদ্ম ফুল দেখছেন। পদ্ম পাতায় পানি ওঠে তা বাতাসে টলমল করছে। কখনও নৌকার গতিতে পদ্ম পাতায় ছোট মাছ ওঠে পড়ছে। মাছরাঙা আর ফিঙে পাখিকে মাছ আর পোকা ধরার অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। পদ্মের সাথে অপরিচিত নানা ফুলও দেখা যায়।

এখানে পদ্ম বিল দর্শনকে কেন্দ্র করে চা-চটপটিসহ বিভিন্ন দোকানের পসরা বসেছে। গ্রামের মেঠোপথে দর্শকদের নিয়ে আসা বিভিন্ন পরিবহনের সারিও দেখা যায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ বাইরের লোকজনও আসছেন পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ফুল না ছিঁড়তে মাঠে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়ার আহবান সচেতনদের।

আরও পড়ুনঃ বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে দীপিকা যা বললেন

দক্ষিণগ্রামের জাহিদ হাসান জানান, মাঠের এই অংশটি নিচু। বছরের আট মাস এখানে পানি থাকে। আগেও এখানে পদ্ম ফুল ফুটতো। গত তিন বছর ধরে বেশি ফুল ফুটেছে। বহু দূর দূরান্ত থেকে পদ্মফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা।

অন্যদিকে নৌকার মাঝি মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিজন ৫০টাকা করে তারা নৌকায় তোলেন। দিনে তাদের ৭/৮শ টাকা আয় হয়। ছুটির দিনে তা দুই হাজারও ছাড়িয়ে যায়। বিলের জমির মালিকদের তারা প্রতিজন প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেন বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, দক্ষিণগ্রামের পদ্মবিলে ৫০ একরের মতো জমি রয়েছে। তার মধ্যে ১০/১২ একর জমিতে পদ্ম ফুল ফোটে। শুষ্ক মৌসুমে এখানে বোরো আবাদ হয়। কিছু জমিতে রোপা আমনও চাষ হয়। পদ্মবিলে মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এতে মানুষের সময় কাটানোর সাথে স্থানীয়দের আয়ের সুযোগ হয়েছে।

প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে জিম্বাবুয়ে

Previous article

৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *